যুদ্ধ চাই না, মোকাবিলার প্রস্তুতি চাই: প্রধানমন্ত্রী।
সুমনসেন চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি-
আমরা কারো সঙ্গে যুদ্ধ করতে চাই না। সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব চাই। এভাবেই দেশকে আর্থ-সামাজিকভাবে উন্নত করতে চাই। তবে কখনো যদি আক্রান্ত হই, তা মোকাবিলা করার মতো জন্য প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে চাই।
বাংলাদেশ কারো সঙ্গে যুদ্ধ চায় না মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আক্রান্ত হলে মোকাবিলার প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে চান তিনি।
বুধবার গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে সেনাবাহিনীর আট ইউনিটের পতাকা উত্তোলন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে সেনাবাহিনীকে মানুষের ভরসা ও বিশ্বাসের প্রতীক উল্লেখ করে সংবিধান ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় তাদের সবসময় প্রস্তুত থাকার কথা বলেন সরকারপ্রধান।
‘বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দেশের মানুষের ভরসা ও বিশ্বাসের প্রতীক। সেই অনুযায়ী মানুষের আস্থা অর্জন করেই আপনাদের এগিয়ে যেতে হবে। দেশ ও জাতির প্রতি দায়িত্ববোধ, কর্তব্যবোধ ও দেশ মাতৃকার প্রতি ভালোবাসা নিয়ে আপনারা নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করবেন, সেটাই আমরা চাই’, বলেন শেখ হাসিনা।
‘সংবিধান ও দেশ মাতৃকার সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য ঐক্যবদ্ধ থেকে আভ্যন্তরীণ কিংবা বাহ্যিক যেকোনো ধরনের হুমকি মোকাবিলার জন্য সদা প্রস্তুত থাকতে হবে’, যোগ করেন তিনি।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পররাষ্ট্রনীতির কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা কারো সঙ্গে যুদ্ধ করতে চাই না। সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব চাই। এভাবেই দেশকে আর্থ-সামাজিকভাবে উন্নত করতে চাই। তবে কখনো যদি আক্রান্ত হই, তা মোকাবিলা করার মতো জন্য প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে চাই।
‘আমরা যুদ্ধ চাই না। কারণ যুদ্ধের ভয়াবহ রূপ নিজের চোখে দেখা আছে। আমরাও এর ভুক্তভোগী। শান্তির পথ ধরেই প্রগতির পথে এগিয়ে যেতে চাই।’
দেশের বিভিন্ন উন্নয়ন ও দুর্যোগে ভূমিকার জন্য সশস্ত্র বাহিনীকে ধন্যবাদ জানান সরকারপ্রধান।
তিনি বলেন, ‘আমাদের সশস্ত্র বাহিনী জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের সেবা করে বিশ্বে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে; দেশের ভাবমূর্তি বিশ্বে উজ্জল করেছে। সেই সঙ্গে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনেও আমাদের সশস্ত্র বাহিনী বিশাল ভূমিকা রেখে যাচ্ছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতার স্বপ্ন ছিল একটি শক্তিশালী সশস্ত্র বাহিনী প্রতিষ্ঠা করা। বঙ্গবন্ধু তার দূরদৃষ্টির মাধ্যমে প্রণয়ন করেছিলেন ১৯৭৪ সালের প্রতিরক্ষা নীতি। সেই নীতির ধারাবাহিকতা বজায় রেখেই আওয়ামী লীগ সরকার কাজ করছে।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ঘাতকের নির্মম বুলেটে প্রাণ হারানো বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের কথা স্মরণ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমার ১০ বছরের ছোট ভাইটির স্বপ্ন ছিল বড় হয়ে সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা হবে। কিন্তু সেই স্বপ্ন আর পূরণ হতে পারেনি।’
সেনাবাহিনীর সদস্যদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘…আমাদের সেনাবাহিনীর সদস্যরা যেখানেই যান, আপনারা সামাজিক কাজ করেন, মানুষকে সাহায্য করেন; মানুষের পাশে দাঁড়ান।’
অনুষ্ঠানে পটুয়াখালীর লেবুখালীতে অবস্থিত শেখ হাসিনা সেনানিবাস প্রান্তে সেনাপ্রধান আজিজ আহমদসহ সেনাবাহিনীর জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।